প্রকাশিত: ০৫/০৯/২০১৬ ৮:১৬ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধি::

টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে তালাক, বিবাহ বিচ্ছেদ ও অবৈধ সম্পর্কের অজুহাতের কারণে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, মাদকাসক্ত, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, রোহিঙ্গা নারীদের সাথে সমপর্ক, অবৈধ টাকাসহ ইত্যাদি।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন কোন পাড়া বা মহল্ল্লা নেই যেখানে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহের কারণে সংসারে অশান্তি এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে না। তার পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের হার দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাঙছে ১০-২০ বছর আগের সাজানো সুখের সংসার।
তথ্য সূত্রে আরো দেখা যায়, লেখাপড়া না জানা অনেক অশিক্ষিত পরিবারের ছেলেরা মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে সংযুক্ত হয়ে রাতারাতি টাকার মালিক বনে অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়ায় নিজের ইচ্ছেমত মায়ানমার থেকে মেয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করছে।
আবার কিছু টাকা লোভী অভিভাবকরা তাদের কম বয়সী ছেলেরা অল্প সময়ে কোটি টাকার মালিক হওয়ায় ঝাঁকজমকভাবে ছেলেকে বিয়ে করাচ্ছে। তাও আবার এলাকার কম বয়সী মেয়েদের সাথে। এ সমস্ত বিবাহ আবার বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই সামান্য ঝগড়া-ঝাঁটি থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ পোস্ট অফিস থেকে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক গাদা নোটিস আসে। বেশির ভাগ নোটিসগুলো হচ্ছে স্বামী, স্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বরাবরে আসা। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক হলেও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমাসে ১০-১৫ দমপতির বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। এ সমস্ত বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ খোঁজতে গিয়ে আরো দেখা যায়, দিনদিন বাল্য বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধি, এক পুরুষের একাধিক বিয়ে, কম খরচে রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করা এবং স’ানীয়রা টাকার লোভে পড়ে রোহিঙ্গাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, নিজের স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে যাওয়ায় ভেঙে যাচ্ছে সংসার।
গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় ১২-১৬ বছরের যুবক-যুবতীরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এছাড়া অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা তাদের নিজের ইচ্ছায় ফোনালাপের মাধ্যমে অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া হলফনামা মূলে বিয়ে করছে।
টেকনাফ কাজী অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিমাসে বিভিন্ন কারণে ১০-১৫টি তালাক সমপন্ন হচ্ছে।
এ সমস্ত তালাকের কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের কন্যা সন্তানের পরিবার ও তাদের সন্তানরা।
ইদানিং টেকনাফ উপজেলায় এমন কিছু বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে, তাও নজরে পড়ার মত। তা হচ্ছে, ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে তাদের স্ত্রীরা কম বয়সী ছেলেদের সাথে অবৈধ সমপর্ক স’াপন করে স্বামীকে তালাক দিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে। সবকিছু মিলিয়ে এই উপজেলায় প্রতিমাসে ১০-১৫ দমপতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে।
বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন কঠোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...

রামু সরকারি কলেজে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ৩ দিনে, ২ সপ্তাহেও চিঠি পাননি তদন্ত কর্মকর্তা

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য গত ১ অক্টোবর ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে ...

উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা পরিদর্শনে নবনিযুক্ত ‘আইজি প্রিজন্স’

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা ও জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত আইজি প্রিজন্স ...